বারডেম হাসপাতালের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আখতারুন নাহার বলেন, শরীরে প্রচুর ক্যালরি গ্রহণ আর তা ঝরিয়ে ফেলার জন্য পরিশ্রম না করার ফলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। ইদানীং আবার ফাস্টফুড, আইসক্রিম ও কোমল পানিও খাওয়ার প্রবণতা বেশি। এসব খাবার উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন। আর তরুণেরা যেন হাঁটাচলা ভুলেই গেছেন। ফলে তাঁদের মধ্যেও মেদভুঁড়ি লক্ষ করা যায়। আবার ঈদ এক দিনের হলেও, ঈদের আমেজ যেন শেষ হতে চায় না। দাওয়াতের পরে দাওয়াত খাওয়া। আর এর ফলে শরীরটাও যেন বেশ ভারী হয়ে যায়। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণের সহজ কিছু পন্থাও দেখিয়ে দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ। তাঁর মতে—
হেলদি ফুড |
খাবারের প্লেটকে চার ভাগে ভাগ করতে হবে; যাকে পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় প্লেট মডেল। এক ভাগে শর্করা, এক ভাগে প্রোটিন আর দুই ভাগে থাকবে সালাদ ও ফলমূল। এভাবেই প্রত্যেক বেলার জন্য খাবার বেছে নিতে হবে। তবে বাড়ন্ত বয়সের ক্ষেত্রে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকবে।
প্লেটে খাবার বারবার না নিয়ে একবারে নেওয়াটা ভালো। তা না হলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়।
যেকোনো বয়সের জন্য তেল কম দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়াই ভালো।
ফল বেশি খাওয়া ভালো।
দুই বেলা রুটি আর এক বেলা ভাত খেলেও খারাপ হয় না।
ভাতের সঙ্গে সবজি নয়, বরং সবজির সঙ্গে ভাত খেতে হবে।
খাওয়ার শেষে মিষ্টি বা ডেজার্ট খেতে চাইলে অন্যান্য খাবার একটু কম করে খাওয়াই ভালো।
কখনোই পেট ভরে খাওয়া উচিত নয়। পেটের তিন অংশের দুই অংশ ভরে গেলেই খাওয়া বাদ দিতে হবে।
রাতে খাওয়ার পর কখনোই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া যাবে না।
সবচেয়ে ভালো হয় হালকা ব্যায়াম করলে। তবে তা অবশ্যই নিয়ম মেনে করতে হবে।
ভারী খাবার খাওয়ার তিন ঘণ্টা পর। আর হালকা খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা ভালো।
স্বাস্থ্য আর সৌন্দর্য কিন্তু আলাদা কোনো বিষয় নয়। তাই স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ রাখার কথা বলেন হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তাঁর মতে, ঈদের পরে অন্তত এক সপ্তাহ খাবারের বিষয়ে যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। এ সময় সকালে খালি পেটে এক মগ গরম পানিতে এক চা-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া ভালো। এর ফলে মেদ কমে যাবে। খাবারে মধ্যে প্রচুর পরিমাণ সালাদ আর ফল রাখার পরামর্শ দেন তিনি। এতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণ হবে সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও ভালো থাকবে।
আর সুন্দর স্বাস্থ্য তো সবারই কাম্য।
তথ্যঃ প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-09-28/news/96945
No comments:
Post a Comment